সময় ও কর্ম-ফল

সময় বড় আজব জিনিস। স্কুলের ধুলায় ঢাকা কাঠের বেঞ্চটা দেখলে বোঝাই যায় না একটা সময় ছিল যখন ছোট ছোট বাচ্চারা পেঞ্চিল-কাটা কম্পাস দিয়ে এর মধ্যে মনের সুখে আকাবুকি করেছিল আর বড়রা পরীক্ষার আগে লিখে রেখেছিল কতই না অঙ্কের সুত্র, বাংলার পয়েন্ট আর ইংরেজি শূন্যস্থান এর উত্তর। সময়ের স্রোত প্রবাহে এখন সব কিছু ধুলায় ঢাকা। মনে হয় একটা শুকনা ন্যকড়া দিয়ে মুছে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে দিলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আসলেই কি তা হয়? মানুষের কৃত কর্ম ফলও অনেকটা এই বেঞ্চের উপরে বাচ্চাদের আকাবুকি ও বড়দের লেখালেখির মত। সময়ের স্রোতে যতই ধুলা পরুকনা কেন একটা সুক্ষ দাগ থেকেই যায়। কর্ম যদি ভাল হয় তাহলে বেঞ্চে আকা সুন্দর ছবিটার মত ফলটাও সুন্দর মনে হয়। যতই ধুলা পরুকনা কেন পরিষ্কার করলেই সব সুন্দর দেখায়। আর কর্ম যদি খারাপ কুৎসিত হয়ে থাকে তাহলে যতই ধুলায় ঢেকে রাখার চেষ্টা করা হোকনা কেন একদিন আয়নার মত পরিষ্কার হয়ে যাবে ও ঐ আয়নায় শুধু নিজের কুৎসিত মুখটাই দেখা যাবে। কৃত কর্মের সহযোগী হয়তো ছিল নিজের অনেক কাছের ও পছন্দের বন্ধু কিন্তু আয়নায় দেখা যাবে শুধু নিজেকেই। তাই সময়, ধুলা, আয়না আর বন্ধু বান্ধব এতো এতো জটিল ইক...