একটি অবসাদ সময়ের কিছু কথা
এতদিনের
পুরনো
ঘরটা
ছেড়ে
দিতে
হবে।
জানালাটাও।
পাখিগুলো
থাকবে।
সকালবেলা
নানা
কীর্তি
করবে
কাঠবিড়ালী।
ইলেক্ট্রিসিটির তার বেয়ে সার্কাস দেখাবে শালিক আথবা বুলবুলি।
কিন্তু
এইসব
দেখার
জন্য
আমি
থাকবনা।
জানালা
দিয়ে
দূরে
ঘাসবন,
কাশবন
অথবা
বেগুনি
রঙের
নাম
না
জানা
কোন
ফুলের
শিশিরভেজা
ঘ্রাণ।
হারিয়ে
যাবে
সব।
শুধু
আমার
কাছ
থেকে।
জানালার
গ্রিল
আকড়ে
থাকা
মানিপ্ল্যান্টগুলো হয়তো শুকিয়ে যাবে।
এই
জানালায়
দেখা
বৃষ্টিস্নাত
প্রকৃতি,
ভিজে
চুপচুপে
হয়ে
যাওয়া
শালিকের
পালক
ফুলিয়ে
গম্ভীর
চেহারায়
বসে
থাকা।
বৃষ্টির
ঘ্রাণ।
সব
হারিয়ে
যাবে।
শুধু
আমার
থেকে।
নানা
রঙের
পালকওয়ালা
কোন
কাঠঠোকরার
বোকা
বোকা
চেহারা
করে
নারকেল
গাছে
ঠক
ঠক
করা
হয়তো
অব্যহত
থাকবে।
কিন্তু
ওদের
গায়ে
কয়টি
রং
আছে
বসে
থেকে
গুনবে
না
কেউ।
নতুন
কেউ
আসবে।
যে
হয়তো
এই
জানালায়
ঝুলিয়ে
রাখবে
মোটা
কোন
পর্দা।
সবসময়।
নতুন
কেউ
আসবে
যে
হয়তো
আমার
মতো
নয়।
যে
হয়তো
এই
জানায়
তাকিয়ে
প্রতিটি
সকালকে
স্বাগত
জানাবেনা।
যে
হয়তো
মানিপ্ল্যান্টের হলদে সবুজ পাতাগুলোকে ওদের অবলম্বন থেকে ছিঁড়ে ফেলে দেবে। পাখিগুলোর ডাক হয়তো তার কাছে মনে হবে বিরক্তিকর অ্যালার্ম ঘড়ি।
এটাই
বাস্তব।
Comments
Post a Comment