Posts

নিজকে ভালোবেসেই বেঁচে থাক

Image
  মন খারাপের সাথেইতো তোর বাস, মনের মাঝেই মন খারাপের চাষ। ফসলগুলো দ্বিগুণ হলে পরে ছড়িয়ে দিবি মনের ঘরে ঘরে। এই ফসলের গোলাঘরের মাঝে, দীর্ঘশ্বাসে একলা কাটা সাঁঝে, তুই ভাবছিস, একলা কোনো রই! কাছের মানুষ, বন্ধুরা সব কই! তোর ফসলের ভাগ নেবে না কেউ, শুঁকবে না সেই শস্যদানার ঘ্রাণ। ওষ্ঠাগত তোর কষ্টের দিনে, কে খোয়াবে নিজের আপন প্রাণ! গোলাঘরে আগুন লাগা আজই, মন খারাপের শস্য পুড়ে যাক! তোর জীবনে সবচে’ আপন তুই, নিজকে ভালোবেসেই বেঁচে থাক!

A letter to my son

Image
Dear my son, Assalamualaikum & welcome! My love, I am writing here to let u know how much I feel u, my son! I want you to know how precious you are and always will be to me. You are my first child, my first son, my first everything, really! Dear, In the years to come, I will teach you a lot, but you have already taught me infinite. You have taught me what it is to be a mother! 🤰 You have taught me to be selfless but sometimes it's good to remain selfish! You have taught me pure love! You have taught me that it is possible to have a piece of my heart outside of my body. And it’s such a scary thing, but more than that, it’s beautiful! ❤️ And I still have so much to learn. Son, thank you for being the one with whom I get to experience all of these things firsts. There is no one else who could have done it. God choose you, my little prince! 🤘 The day you came was special one (valentine's day 😇). I pray that you grow up strong,  sweet, love Allah and have a heart for others. ...

~ তুমি চলে এসো এক বরষায়...~

Image
তিয়াশার আজ ক্লাসে যেতে একদমই ইচ্ছে করছে না। সকাল আটটায় একটা ক্লাস। মাঝে কোন ক্লাস নেই। সেই একেবারে দু’টোর সময় আছে আরেকটা। ধুর! না গেলাম আজ ক্লাস করতে। কী সুন্দর বৃষ্টি বৃষ্টি সকাল! -- এই ভেবে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়ল তিয়াশা। সকাল সাতটায় অ্যালার্ম বেজে উঠল। ঘড়িতে নয়। মোবাইলে। বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে পড়বে ভেবে মোবাইল হাতে নিল তিয়াশা। একী! তেত্রিশটা মিসড কল আর দু’টো এসএমএস! বিদ্যুত গতিতে উঠে বসল তিয়াশা। অর্নব এতবার ফোন করেছে কেন! মোবাইল সাইলেন্ট করা ছিল। একদমই টের পায়নি। সাথে সাথে কল ব্যাক করল তিয়াশা-- ‘দুঃখিত এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। অনুগ্রহ করে..........’ পর পর দশবার কল দিয়ে একই কথা শুনল। কী হয়েছে অর্নবের! এসএমএস দু’টো পড়তে লাগল তিয়াশা--  ‘Phone receive korona keno? It’s urgent!’ পরেরটায় লেখা-  ‘sokal 10tay TSC-te theko plz’ তিয়াশার প্রচন্ড ভয় করতে লাগল। ফোন বন্ধ করে রেখেছে কেন অর্নব! কোন দুর্ঘটনা নয় তো! সকাল আটটার ক্লাসে মন বসাতে পারল না তিয়াশা। মাঝখানে আরও দুই বার চেষ্টা করেও অর্নবকে ফোনে পায়নি। সাড়ে নয়টার দিকে টিএসসির দিকে হাঁটা ধরল সে।...

একটি অবসাদ সময়ের কিছু কথা

Image
এতদিনের পুরনো ঘরটা ছেড়ে দিতে হবে। জানালাটাও। পাখিগুলো থাকবে। সকালবেলা নানা কীর্তি করবে কাঠবিড়ালী। ইলেক্ট্রিসিটির তার বেয়ে সার্কাস দেখাবে শালিক আথবা বুলবুলি। কিন্তু এইসব দেখার জন্য আমি থাকবনা। জানালা দিয়ে দূরে ঘাসবন , কাশবন অথবা বেগুনি রঙের নাম না জানা কোন ফুলের শিশিরভেজা ঘ্রাণ। হারিয়ে যাবে সব। শুধু আমার কাছ থেকে। জানালার গ্রিল আকড়ে থাকা মানিপ্ল্যান্টগুলো হয়তো শুকিয়ে যাবে। এই জানালায় দেখা বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতি , ভিজে চুপচুপে হয়ে যাওয়া শালিকের পালক ফুলিয়ে গম্ভীর চেহারায় বসে থাকা। বৃষ্টির ঘ্রাণ। সব হারিয়ে যাবে। শুধু আমার থেকে। নানা রঙের পালকওয়ালা কোন কাঠঠোকরার বোকা বোকা চেহারা করে নারকেল গাছে ঠক ঠক করা হয়তো অব্যহত থাকবে। কিন্তু ওদের গায়ে কয়টি রং আছে বসে থেকে গুনবে না কেউ। নতুন কেউ আসবে। যে হয়তো এই জানালায় ঝুলিয়ে রাখবে মোটা কোন পর্দা। সবসময়। নতুন কেউ আসবে যে হয়তো আমার মতো নয়। যে হয়তো এই জানায় তাকিয়ে প্রতিটি সকালকে স্বাগত জানাবেনা। যে হয়তো...

একজন বদি মিয়ার গল্প (খন্ড ‌এক)

Image
বদি মিয়া মৃত্যু সহ্যা! সবাই তার চারপাশে ঘিরে আছে, অবাক ব্যাপার বদি মিয়া ছাড়া ঘরে তার পরিবার পরিজন কারো চোখে কোনো পানি নেই, সবাই যেন মৃত্যুর আগে মানুষের কষ্ট কেমন হয় সেই ম্যাজিক দেখার আগ্রহ নিয়ে ফেল ফেল করে তাকিয়ে আছে। ঘরের মধ্যে এক বিচ্ছিরি গন্ধ! কিছু ধুপ, আর আগর বাতির। সবাই যেন তার মৃত্যুর বার্তা নিয়ে আগে থেকে তৈরি! বদি মিয়া ঝাপ্সা চোখে স্পষ্ট সালমা বেগমকে দেখছে!এই ৫০ বছরেও ওকে কি শুভ্র দেখাচ্ছে। চুল গুলো আজও বাধতে শেখেনি, কিন্তু এলোমেলো সেই চুলের মায়া মুখ খানি কি প্রশান্তির! যেন এক শান্তির দেবী! সালমা বেগম ঠিক তার পাশে বসা। বদী মিয়া আর কারো না, শুধু সালমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার ভেতরটা চিৎকার করছে, ক্ষমা চাচ্ছে। আশ্চর্য!বদি মিয়ার সেই চিৎকার সালমা বেগম শুনছে না। এই ঘরের কেউই শুনছে না। সেই চিৎকার প্রতিধ্বনি হয়ে বদী মিয়ার কানে যাচ্ছে। কি অসহ্য আর্তনাদ! বদী মিয়ার মৃত্যুর যন্ত্রনা আরো প্রখর হতে থাকে। তার গলা শুকিয়ে ওষ্ট কাঠ। সালমা বেগম শুধু তাকিয়ে আছে, যেন বদী মিয়ার মৃত্যুর যন্ত্রনা দেখার প্রতীক্ষায়। হঠাৎ তিনি দেখলেন সালমা বেগম উঠে চলে যাচ্ছে, তাহলে কি সে বদী মিয়ার মৃত্যু যন্ত্রনা দেখবে...

ইচ্ছে পূরণ

Image
দু দিন বাদে ঈদ! হিমিকা হসপিটালের বেডে শুয়ে। রাত ৩ টা। সেহরির জন্য বলেই হয়ত এত রাতেও আশে পাশে বেশ আলো। বুকের ভেতর কি কি যন্ত্রপাতি দেয়া। অস্থির লাগছে। হিমিকার খুব চা খেতে ইচ্ছে করছে। আর বাসায় ফেলে রাখা যে উপন্যাসের এখনো কয়েক পাতা বাকি তার জন্য বিরক্ত লাগছে। হসপিটাল থেকে যে বাসা খুব বেশি দূর তা না, তার ইচ্ছে হচ্ছে মি. ইন্ডিয়ার মুভির সেই অদৃশ্য পোশাক পড়ে বাসায় গিয়ে বইটা নিয়ে এসে আবার হসপিটালের বেডে শুয়ে পড়বে! ভাবতেই তার মজা লাগছিল। সি সি ইউ তে কাউকে ঢোকা নিষেধ। কাউকে যে চায়ের কথা বলবে তার উপায় নেই। নাহ! আর ভালো লাগছেনা, হাতের স্যালাইনটা খুলে ফেললো সাহস করে, বুকের ব্যাথাটা নাই! খামোখা শুইয়ে রেখেছে। রুমটা নতুন, এখনো নতুন রঙের বিদঘুটে গন্ধ। হিমিকা বেড থেকে নামল, বুকের যন্ত্রপাতি গুলো খুলতে পারলে শান্তি পেত! নাহ ওগুলো খোলা যাচ্ছেনা, একটা বড় মেশিনের সাথে আটকানো। হিমিকার বড্ড অস্থির লাগছে। বেডের উপর বসে পাশে জানালার দিকে তাকাল। দূরের ল্যাম্পপোস্ট, কোথাও কোন শব্দ নেই। হিমিকার মনে হচ্ছে বইটা শেষ না করে য মদি মরে যাই তাহলে বিপদ। নাহ যে করেই হোক বইটা আনাতে হবে। হঠাত হিমিকা রুমের ভেতর বেলী ফুলের ...

রক্তিম কৃষ্ণচূড়া

Image
ভোর বেলা হিমিকা তার সেই প্রিয় রাস্তা ধরে হাটছে।প্রশান্তির ঠান্ডা বাতাস তাকে ছুয়ে দেয়! রাস্তার পাশ ধরে শুধু কৃষ্ণচূড়া।হঠাৎ তার চোখে ভেসে উঠে কোন এক পড়ন্ত বিকেলে হিমালয়ের সাথে থাকা মূহুর্তঃ ---------------------------------------------------------------- হিমালয়ঃ মনে করো এক বিশাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের সিংহাসন গড়ে দিলাম তোমার জন্য, তোমার এক পৃথিবী ভালোবাসার জন্য সেখানে বসব আমরা পড়ন্ত বিকেলে ঠিক গাছের 'পরে নীলচে আকাশ নিচে! হিমিকাঃ আমার খোঁপায় দিবে কৃষ্ণচূড়ার থোকা থোকা সাজানো পুষ্পমঞ্জরির ঢল চাইব না আমি!জানবে মনে হয়ত তাই এই কবিতা শুধু কানে ফিসফিসিয়ে বলবে, "প্রিয়া,কৃষ্ণচূড়ার ওই লম্বাঢলটায় খুব মানাতো তোমার খোঁপা!" হিমালয়ঃ আরো অবাক করে ঢের কাছে এসে ভয় পাইয়ে বললে- "কৃষ্ণচূড়া ফুল দিয়ে শাড়ী বানাবো, রোজ জড়াব তোমায় এই লাল-হলুদের মিষ্টি ভালোবাসায়!" হিমিকা এই শুনে হিমালয়ের হাতটা শক্ত করে ধরে বলেঃ আজ আমার কৃষ্ণচূড়া দিবস আজ আমি কৃষ্ণচূড়া ছাড়া কোনো ফুল দেখব না আজ কৃষ্ণচূড়া ছাড়া কোনো কবিতা হবে না আজ কৃষ্ণচূড়া ছাড়া কারো ভালোবাসা জমবে না! ---------------------------...