রক্তিম কৃষ্ণচূড়া

ভোর বেলা হিমিকা তার সেই প্রিয় রাস্তা ধরে হাটছে।প্রশান্তির ঠান্ডা বাতাস তাকে ছুয়ে দেয়! রাস্তার পাশ ধরে শুধু কৃষ্ণচূড়া।হঠাৎ তার চোখে ভেসে উঠে কোন এক পড়ন্ত বিকেলে হিমালয়ের সাথে থাকা মূহুর্তঃ
----------------------------------------------------------------
হিমালয়ঃ মনে করো এক
বিশাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের সিংহাসন
গড়ে দিলাম তোমার জন্য,
তোমার এক পৃথিবী ভালোবাসার জন্য
সেখানে বসব আমরা পড়ন্ত বিকেলে ঠিক গাছের 'পরে নীলচে আকাশ নিচে!

হিমিকাঃ আমার খোঁপায় দিবে কৃষ্ণচূড়ার থোকা থোকা সাজানো পুষ্পমঞ্জরির ঢল
চাইব না আমি!জানবে মনে হয়ত তাই এই কবিতা
শুধু কানে ফিসফিসিয়ে বলবে,
"প্রিয়া,কৃষ্ণচূড়ার ওই লম্বাঢলটায় খুব মানাতো তোমার খোঁপা!"

হিমালয়ঃ আরো অবাক করে ঢের কাছে এসে
ভয় পাইয়ে বললে-
"কৃষ্ণচূড়া ফুল দিয়ে শাড়ী বানাবো,
রোজ জড়াব তোমায় এই লাল-হলুদের মিষ্টি ভালোবাসায়!"

হিমিকা এই শুনে হিমালয়ের হাতটা শক্ত করে ধরে বলেঃ
আজ আমার কৃষ্ণচূড়া দিবস
আজ আমি কৃষ্ণচূড়া ছাড়া কোনো ফুল দেখব না
আজ কৃষ্ণচূড়া ছাড়া কোনো কবিতা হবে না
আজ কৃষ্ণচূড়া ছাড়া কারো ভালোবাসা জমবে না!
------------------------------------------------------------------

শুরুটা ছিল কাঠগোলাপের সেই সুর দিয়ে, কিন্তু তাদের প্রেমের প্রনয় হয় রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার শিহরনে! ভালোবাসার তীব্রতা এতই প্রখর ছিল যে, আজও বিচ্ছেদের পর প্রচন্ড অবিশ্বাসের ব্যাথা নিয়ে কৃষ্ণচূড়াকে পায়ে না পিষে, হিমিকা কুড়িয়ে নেয় পরম যত্নে!


Comments

Popular Post

তুমি আমার মানে, পুরোটাই আমার

মুক্ত করে দিব পাখির মত

মা, মামুনি, আম্মু, আম্মা, মম