Posts

Showing posts from November, 2018

হিমিকা এখনও হিমালয়ের অপেক্ষায়

Image
হিমালয় জানিনা কেমন আছ। আজ অনেকদিন পর খুব করে তোমাকে মনে পড়ছে। জানিনা কেন। তাই ভাবলাম একটা চিঠি লিখে ফেলি তোমার কাছে। তোমাকে বলেছিলাম একদিন, হিমালয় থেকে হিমু হবে? একদিন কটকটে হলুদ একটা পাঞ্জাবি পরে হাঁটবে আমার পাশে? আমিও নাহয় নীল শাড়িতে রুপা হব সেদিন। হিমুরা কারও হাত ধরেনা। তুমি কিন্তু আমার হাত ধরে থাকবে। যাবে একদিন? তুমি বলেছিলে, ঐসব বাউন্ডুলে মার্কা চিন্তা ভাবনা তোমার পছন্দ না। তুমি নাকি খুবই বাস্তববাদী। আমার মাথা থেকে ঐসব হিমুর ভূত ছাড়াতে বলেছিলে তুমি। ভূত আমি ছাড়িয়েছিলাম। আর কখনও ধরিনি ওরকম কোন বায়না। তোমাকে একদিন বলেছিলাম, কাগজে কলমে একটা চিঠি লিখতে। আক্ষরিক অর্থে প্রেমপত্র। ভালোবাসার কিছু কথা কাগজে বন্দি করে। তুমি বলেছিলে, চিঠি ফিঠি লেখার সময় নেই তোমার। আমাকে ওসব ফালতু আবেগ ঝেড়ে ফেলতে বলেছিলে তুমি। ওহ, ঐদিন অবশ্য বাংলিশ একটা মেইল পেয়েছিলাম তোমার। ফালতু আবেগগুলোকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলাম একে একে। একদিন বলেছিলাম, চলনা ভিজি বৃষ্টিতে। ঐ যে ক্যাম্পাসের সারি সারি কদম গাছে ফুটে থাকা স্নিগ্ধ ফুলগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকছিল আমাদের। ঐদিন। তুমি বললে, বাদ দিতে ...

শিউলি ফুল খেতে ইচ্ছে করে

Image
তখন আমি পঞ্চম শ্রেণীতে। আগের বাসার সামনের বাড়িটার পেছন দিকে একটা বিশাল শিউলি গাছ ছিল। বাড়িটাকে সবাই ডাকতো কিপ্টের বাড়ি। বাড়ির মালিক ছিল হার কিপ্টে নাকি! বাইরের রাস্তা থেকে শুরু করে বাড়ির ভেতরে যেন শিউলির বিছানা! আহাহাহা! এখনো সেই চোখ ধা-ধা-নো দৃশ্য চোখে ভেসে উঠে! ফযরের আযানের পর পরই বুড়ো নামাযে গেলেই একটা ফুল ঝাড়ু, আর মস্ত একটা থালা নিয়ে শুরু করে দিতাম শিউলি তোলা। শিউলির ঘ্রানে বুড়োর ভয়টা ভুলে যেতাম। কিন্তু হায়.....!! কথায় আছে চোরের দশদিন তো গৃহস্থের এক। একদিন ধরা পড়ে গেলা ম। সেই কি দৌড়ানি টা দিলরে বাবা! ভয়ে শেষ, যেন বাসায় না বিচার দেয়। যেই কথা সেই কাজ, দুপুরে স্কুল থেকে বাসায় ঢুকতেই আম্মু বল্ল - " কিপ্টের বাড়ি থেকে নালিশ এসেছে, ওদের শিউলি তোলা যাবে না"। আম্মুকে বল্লাম, " বুড়োকি কবরে যাবে নাকি গাছ নিয়ে! রাতে আমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে শিউলি গাছটায় দেখতাম,অন্ধকারে সাদা সাদা ফুল গুলো গুটিশুটি দিয়ে উঁকি দিচ্ছে! কি মিষ্টি ঘ্রান।যাইহোক, আমি কি আর থামি,ভোরে চলে যাই আবার সেই ফুল ঝাড়ু আর থালাটা নিয়ে। কে পায় বিচারের ভয়! পরিশিষ্টঃ বুড়োর বুড়ির জন্য কিন্তু অনেকবার মালা পাঠ...

অপেক্ষায় রই

Image
ঝুম বৃষ্টিতে একদিন ভিজবো খুব। দূর থেকে ভেসে আসা বেলির ঘ্রাণে কালবৈশাখি ঝড়ের টানে ঘরছাড়া মেঘেরা যাবে যেখানে যাবো সেখানেই , তোমার হাত ধরে। মেঘগুলো ডাকছে , তুমি কই ? আজই কী তবে সেই দিন ! অপেক্ষায় রই।

এক টুকরো সুখ!

Image
ভোর ৪ টা ! টিক টিক টিক ! জানালার ভেতর দিয়ে আসা ঠান্ডা বাতাস মুখের মধ্যে বারি দিচ্ছে।বাইরের খোলা আকাশটা একটা সাদা নিল তুলোর মাঠ। আহা ! একটু পর পর নাইট গার্ডের হুইসেল। দূর থেকে ভেসে আসছে আযানের ধ্বনি। ওই যে কাক গুলো ডাকছে ! একটু পরই সূয্যিমামার আগমন হবে। আচ্ছা ? এটা কি আরেকটি নতুন দিনের আহবান নাকি জীবন থেকে আরেকটি দিন চলে যাওয়ার হাহাকার ! নির্ঘুম রাতের শেষে ভোর দেখাটা আসলেই নেয়ামত ! প্রশান্তির আচ্ছাদিত এক টুকরো সুখ ! ❤ ️

ভালোবাসি অন্ধের মত

Image
আমি তোমাকে ভালোবাসি অন্ধের মত ! তাইতো তোমার ভালোবাসা আমাকে করেছে চক্ষুষ্মান ! আমি তোমাকে ভালোবাসি অন্ধের মত ! তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে আমার জগৎ হবে অন্ধকারাচ্ছন্ন ! তুমি অন্ধের মত আমাকে ভালোবেসে আমাকে করেছ চক্ষুষ্মান ! তাই তোমার জগৎ অনেক আগে থেকেই আলোহীন। কিন্তু এখন আমি আলোর বাসিন্দা। আলো আর অন্ধকারের সহঅবস্থান সম্ভব কি ? কখনই নয়। বিদায়। অন্ধকারের বাসিন্দা এখনও অন্ধকারেই আছে। কিন্তু আলোর অন্বেষণে যাওয়া পথিক কি পেয়েছে আলোর দিশা ? নাকি তার পাওয়া উচিৎ ?

আর নেই নীল খাম চিঠি

Image
এখন আর নেই নীল খাম চিঠি। আছে চ্যাটবক্সে মিথ্যের ফুলঝুড়ি। লোকদেখানো সুখ - সভ্যতার আড়ালে ধুঁকছে মরচেপড়া মনন। স্বার্থপরতার নি : স্বার্থ উপস্থাপনায় নীল খাম চিঠি আটকে গেছে নর্দমার শিকে।

আপনার কোন বিকল্প নেই

Image
তাঁর বই পড়তে শুরু করলেই কোন না কোন আজব চরিত্রের সাথে নিজের কিছু মিল খুঁজে পেয়ে যেতাম। যতটুকু পেতাম না ততটুকু নিজের অজান্তেই নিজের মধ্যে আত্মস্থ করে নিতাম। কিছুটা অদ্ভূত , অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ , খুব চাপা স্বভাবের একজন হয়ে উঠলাম ধীরে ধীরে। হঠাৎ করেই লক্ষ্য করলাম , বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগছে। জোৎস্নার নরম আলোয় উদ্ভাসিত প্রকৃতি আমার চোখে অন্যরকম সুন্দর হয়ে ধরা দিচ্ছে। স্বীকার করতে বাধ্য হলাম যে , বাঙালি মেয়েদের সবচেয়ে মায়াবতী দেখায় যখন তারা শাড়ি পরে। একটা কল্পনার জগৎ দাঁড় করিয়ে ফেললাম। সেখানে অভিমান , রাগ , ভালোবাসা ইত্যাদি ছোটো ছোটো অনুভূতিগুলোকে বিকশিত হতে দিলাম। সম্পূর্ণ নিজের একটা জগৎ , যেখানে অন্য কারও প্রবেশাধিকার নেই। সেই জগতেই শুরু হলো আমার বসবাস। এভাবে কখন যেন আশেপাশের সবার থেকে অনেক দূরে সরে গেলাম। সবার কাছে হয়ে গেলাম অনেক দুর্বোধ্য একজন। নিজের তৈরি করা জগতে কখন যে কারারুদ্ধ হয়ে গেলাম তা টেরও পেলাম না ! এমন সময় ভাবলাম , একজন আছে , যে খুব সম...