আরেকটা বার আসবে তুমি, অরণী?
ফোন বাজছে। অরণীর কল। ধরতে ইচ্ছে করছে না। অরণীর সাথে রাগ করে কথা বন্ধ আজ প্রায় ১০ দিন। কোনো খোঁজ খবর জানি না। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ভাইবার সবখানে ব্লক করে রেখেছি। ফোন নম্বরও ব্লক করা ছিলো। আজই আন-ব্লক করলাম। তার ৫ মিনিটের মাথায় এই কল।
ধরবো না মনে করেও ধরলাম।
"ইরফান, শোনো, একটু দেখা করতে পারবে?"
"এখন বাজে রাত সাড়ে আটটা অরণী!"
"প্লিজ..."
"কোথায় আসবো?"
"বনানীতে... আমাদের পছন্দের কফিশপে..."
" আমার ঘণ্টাখানেক লাগবে..."
"আচ্ছা..."
বিরক্তি নিয়ে রওনা দিলাম। ওর উপর রাগটা যায়নি এখনো। তবে আমি জানি দেখা হলে রাগ চলে যাবে। সামনাসামনি কখনো ঝগড়া হয়নি আমাদের। যা হয়েছে ফোনে ফোনেই।
......
যা ভেবেছি তাই। গাঢ় নীল রংয়ের ড্রেসে পরীর মতো লাগছে ওকে। আমায় দেখে হাসলো। রাগ-টাগ সব উড়ে গেলো। পর পর দু'কাপ কফি খেলো ও। সবসময়ের মতোই খাবার কিছুই খেলো না।
গল্পে গল্পে ঘণ্টাখানেক সময় কখন পেরিয়ে গেলো টেরই পেলাম না!
সাড়ে ১০ টার দিকে ওয়েটারের কাছে বিল মিটিয়ে উঠলাম। অরণী বললো,
"আমাকে একটু বাসায় নামিয়ে দেবে? আজ আমার সাথে গাড়ি নেই..."
"অবশ্যই!"
গাড়িতে উঠে ওর প্রিয় প্লেলিস্ট বাজিয়ে দিলাম। বিষন্ন লাগছে ওকে। অবশ্য প্রতিবারই দেখা হবার পর চলে যাওয়ার সময় ও বিষন্ন হয়ে যায়। কিছুদূর যেতেই অরণী আমার হাত চেপে ধরলো...
" গাড়ি থামাও... বাসায় এসে গেছি তো!"
আমি হেসে ফেললাম। পাগলিটা আবার কী পাগলামি করছে কে জানে!
" অরণী, উত্তরা পৌঁছাতে আরও অনেক দেরি! কেবল বনানী কবরস্থানে..."
ও আমার হাতে চাপ বাড়ালো, তীব্র একটা কণ্ঠে বললো, "হুম, গাড়ি থামাও, এখন এটাই আমার বাসা!!!"
ভীষণ এক ব্রেক কষে গাড়ি থামালাম। ও আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দৌঁড়ে রাস্তা পার হলো। কবরস্থানের গেট দিয়ে চির পরিচিতের মতো ঢুকে গেলো।
.....
অরণীর সাথে সেই ছিলো আমার শেষ দেখা। কথা না বলা ১০ দিনের ৪র্থ দিনেই ও অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়। ওর কবর হয় বনানীতে। আমি জানতাম না। আমাকে কেউ জানায়নি।
মাঝে মাঝে গভীর রাতে কবরস্থানের গেট থেকে কিছুটা দূরে এসে দাঁড়িয়ে থাকি। আরেকটা বার আসবে তুমি, অরণী?
ধরবো না মনে করেও ধরলাম।
"ইরফান, শোনো, একটু দেখা করতে পারবে?"
"এখন বাজে রাত সাড়ে আটটা অরণী!"
"প্লিজ..."
"কোথায় আসবো?"
"বনানীতে... আমাদের পছন্দের কফিশপে..."
" আমার ঘণ্টাখানেক লাগবে..."
"আচ্ছা..."
বিরক্তি নিয়ে রওনা দিলাম। ওর উপর রাগটা যায়নি এখনো। তবে আমি জানি দেখা হলে রাগ চলে যাবে। সামনাসামনি কখনো ঝগড়া হয়নি আমাদের। যা হয়েছে ফোনে ফোনেই।
......
যা ভেবেছি তাই। গাঢ় নীল রংয়ের ড্রেসে পরীর মতো লাগছে ওকে। আমায় দেখে হাসলো। রাগ-টাগ সব উড়ে গেলো। পর পর দু'কাপ কফি খেলো ও। সবসময়ের মতোই খাবার কিছুই খেলো না।
গল্পে গল্পে ঘণ্টাখানেক সময় কখন পেরিয়ে গেলো টেরই পেলাম না!
সাড়ে ১০ টার দিকে ওয়েটারের কাছে বিল মিটিয়ে উঠলাম। অরণী বললো,
"আমাকে একটু বাসায় নামিয়ে দেবে? আজ আমার সাথে গাড়ি নেই..."
"অবশ্যই!"
গাড়িতে উঠে ওর প্রিয় প্লেলিস্ট বাজিয়ে দিলাম। বিষন্ন লাগছে ওকে। অবশ্য প্রতিবারই দেখা হবার পর চলে যাওয়ার সময় ও বিষন্ন হয়ে যায়। কিছুদূর যেতেই অরণী আমার হাত চেপে ধরলো...
" গাড়ি থামাও... বাসায় এসে গেছি তো!"
আমি হেসে ফেললাম। পাগলিটা আবার কী পাগলামি করছে কে জানে!
" অরণী, উত্তরা পৌঁছাতে আরও অনেক দেরি! কেবল বনানী কবরস্থানে..."
ও আমার হাতে চাপ বাড়ালো, তীব্র একটা কণ্ঠে বললো, "হুম, গাড়ি থামাও, এখন এটাই আমার বাসা!!!"
ভীষণ এক ব্রেক কষে গাড়ি থামালাম। ও আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দৌঁড়ে রাস্তা পার হলো। কবরস্থানের গেট দিয়ে চির পরিচিতের মতো ঢুকে গেলো।
.....
অরণীর সাথে সেই ছিলো আমার শেষ দেখা। কথা না বলা ১০ দিনের ৪র্থ দিনেই ও অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়। ওর কবর হয় বনানীতে। আমি জানতাম না। আমাকে কেউ জানায়নি।
মাঝে মাঝে গভীর রাতে কবরস্থানের গেট থেকে কিছুটা দূরে এসে দাঁড়িয়ে থাকি। আরেকটা বার আসবে তুমি, অরণী?
Comments
Post a Comment