শিউলি ফুল খেতে ইচ্ছে করে
তখন আমি পঞ্চম শ্রেণীতে। আগের বাসার সামনের বাড়িটার পেছন দিকে একটা বিশাল শিউলি গাছ ছিল। বাড়িটাকে সবাই ডাকতো কিপ্টের বাড়ি। বাড়ির মালিক ছিল হার কিপ্টে নাকি! বাইরের রাস্তা থেকে শুরু করে বাড়ির ভেতরে যেন শিউলির বিছানা! আহাহাহা! এখনো সেই চোখ ধা-ধা-নো দৃশ্য চোখে ভেসে উঠে!
ফযরের আযানের পর পরই বুড়ো নামাযে গেলেই একটা ফুল ঝাড়ু, আর মস্ত একটা থালা নিয়ে শুরু করে দিতাম শিউলি তোলা। শিউলির ঘ্রানে বুড়োর ভয়টা ভুলে যেতাম। কিন্তু হায়.....!! কথায় আছে চোরের দশদিন তো গৃহস্থের এক। একদিন ধরা পড়ে গেলাম। সেই কি দৌড়ানি টা দিলরে বাবা! ভয়ে শেষ, যেন বাসায় না বিচার দেয়। যেই কথা সেই কাজ, দুপুরে স্কুল থেকে বাসায় ঢুকতেই আম্মু বল্ল - " কিপ্টের বাড়ি থেকে নালিশ এসেছে, ওদের শিউলি তোলা যাবে না"। আম্মুকে বল্লাম, " বুড়োকি কবরে যাবে নাকি গাছ নিয়ে!
রাতে আমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে শিউলি গাছটায় দেখতাম,অন্ধকারে সাদা সাদা ফুল গুলো গুটিশুটি দিয়ে উঁকি দিচ্ছে! কি মিষ্টি ঘ্রান।যাইহোক, আমি কি আর থামি,ভোরে চলে যাই আবার সেই ফুল ঝাড়ু আর থালাটা নিয়ে। কে পায় বিচারের ভয়!
রাতে আমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে শিউলি গাছটায় দেখতাম,অন্ধকারে সাদা সাদা ফুল গুলো গুটিশুটি দিয়ে উঁকি দিচ্ছে! কি মিষ্টি ঘ্রান।যাইহোক, আমি কি আর থামি,ভোরে চলে যাই আবার সেই ফুল ঝাড়ু আর থালাটা নিয়ে। কে পায় বিচারের ভয়!
পরিশিষ্টঃ বুড়োর বুড়ির জন্য কিন্তু অনেকবার মালা পাঠিয়েছিলাম! 

ওহ! ছোট থেকেই শিউলি ফুল খেতে ইচ্ছে করে। পাখি হলে নির্ঘাত শিউলি খেতাম। এখনো এই বুড়ো বয়সেও,- ইচ্ছেটা কিন্তু একটুও কমেনি। 

Comments
Post a Comment