রিকশা।
আজ ক্যম্পাস থেকে বাসায় আসার সময় একটা রিক্সা আসতে চাচ্ছিলনা! রাস্তা দিয়ে মেজাজ খারাপ করে হাঁটছিলাম আর ভাবছিলাম এই রিক্সা চালকদের কথা!আজব চরিত্র এদের!হাঁটতে হাঁটতে ভাবতে লাগলাম এদের কর্মকান্ড কিছু......
যখন আপনি খুব তাড়াহুড়ায় থাকবেন তখন রিকশা চালকদের সারা জীবনে সর্বাধিক ব্যবহৃত ডায়ালগ “"জামুনা”। বসে থাকবে নবাবদের মতন কিন্তু আসবেনা।
এদের একটা দি আল্টিমেট রিকশাওয়ালা কনসেপ্ট আছে আর তা হচ্ছে “রাস্তা যত বেশি ভাঙা আর চিপাচাপা ততই নাকি শর্টকাট !
কোন এক অজানা কারণে রিকশাওয়ালারা সামনে স্পিড ব্রেকার দেখলে রিকশার গতি ১০০ গুণ বাড়িয়ে দেয়।
আর এর ফলাফলঃ হাড্ডিতে-হাড্ডিতে মারাত্নক ঠোকাঠুকি।
আগে বলত ৩জন হলে ভাড়া বেশি, আর এখন বলে ২জন গেলে ভাড়া বেশি, কয়দিন পর বলবে আসেন ওজন মাপি তারপর ভাড়া বলমু!
যখন বলবে চিনিনা, আপনে চিনাইয়া নেবেন আর যা ভাড়া তাই দিবেন, আর তাদের বিশ্বাস করে যদি রিক্সায় উঠেন তারপর গোন্তব্যে পোছানোর পর শুনবেন হাজারটা বানী, ভাড়া বারাইতে হইবে কারন এইডা অনেক দূরে নিয়া আইসেন!
আর ঝড়, ব্রষ্টি, গরম, ছুটির দিন, উৎসবের দিন, ঈদের দিন, মেয়ে মানুষ দেখলে ভাড়া যেন আকাশ চুম্বি!
আর রাস্তা যত কাছের ভাড়া তত বেশি!
এইসব ভাবতে ভাবতে যখন রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন হঠাৎ এক বুড়ো রিকশাওয়ালার মুখের দিকে তাকিয়েই বড্ড মায়া লাগল, ২জন লোক ছিল পেছনে, তাও যেন সে টানতে পারছিলনা!এরপর খেয়াল করলাম প্রায় সব রিক্সা চালকের মুখেই সারাদিনের ক্লান্তির কষ্টের আর কেমন যেন অভিমানের ছাপ!অভিমা্ন পেছনে বসা বোঝা গুলোর জন্য না, অভিমান যেন সব ভাগ্যের উপর! বুঝলাম এরা তাদের কষ্টের ঘাম ঝড়ানোর বাড়তি টাকা অনেকটা আবদার করেই চায় !
Comments
Post a Comment